COTM-এর সেরা পাঁচ ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি

ম্যানেজমেন্টে কিস্তিমাত

আবরার আবদুল্লাহ মোকাররম, কৃতিত্বের সাথে এ-লেভেল সম্পন্ন করে বর্তমানে একাউন্টিং বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।পড়াশোনার পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন । দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ সাংস্কৃতিক অনলাইন গ্রুপ ক্যাস্টএওয়ে অন দ্যা মুন এর ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এর একজন অন্যতম সদস্য তিনি।খুব আগ্রহ সহকারে যেকোনো কাজ করেন।নিজের মাঝে এক অন্যরকম তাগিদের অনুভব এই কাজের প্রতি তাঁর ভালোবাসার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
একজন বন্ধুর মাধ্যমেই তার সিওটিএম এ প্রবেশ । কেবল মাত্র একজন পার্টিসিপেন্ট হিসেবে  সিওটিএম এ তাঁর যাত্রা শুরু হলেও তিনি এখন ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ! 
এগুলোর পাশাপাশি খুব জোরালো ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন তার অত্যন্ত পছন্দের একটি কাজ ফটোগ্রাফি।  ছোট থেকেই যেকোনো মুহূর্তকে ক্যামেরার ফ্রেমে আবদ্ধ করতে ভালোলাগে তার । শুরুতে বাবা – মা এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেই সংরক্ষণ করতেন সে সকল মুহূর্তগুলো । সেটি আকাশের ছবি হোক বা দালানের ছবি , সামনে যা দেখে ভালো লাগতো তাই ক্যামেরায় ধারণ করতেন । শখের  বশে শুরু হলেও ধীরে ধীরে ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতে থাকেন তিনি। ছবির মাধ্যমেই আবরার তার মনের ব্যাকুল অনুভূতিগুলো একত্রিত করে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। ফ্রেমে বন্দী করা তার ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে নানা অব্যক্ত কথার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি।   একটি ছবির মাঝে যে কত শত কাহিনী লুকিয়ে থাকে প্রতিনিয়তই  তা উপলব্ধির চেষ্টা করেন আবরার । 

সিওটিএম জার্নি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান , ” এখানকার সকলেই বন্ধুবৎসল।খুব সহজেই আপন করে নিয়েছে আমাকে । আগে আমি তেমন কথা বলতে পারতাম না । তবে এখা দেন থেকে নিজের সেই প্রতিবন্ধকতা কে জয় করতে পেরেছি আমি। এর মাধ্যমে আমি কিছু অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি । সিওটিএম এ এখনও পর্যন্ত আমার যাত্রা অত্যন্ত চমৎকার ছিল  “
দৈনন্দিন জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও কাজের প্রতি রয়েছে তার দৃঢ় মনোবল । তার এই কাজ যেনো আরোও সাফল্যে যাক এটিই আশা রাখছি।  অনেকের জন্য হয়ে উঠবেন “রোল মডেল” । তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।

“মায়িশার স্বপ্নগুলোর নেই কোন তুলনা”

নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন সবাই দেখে।কিন্তু অন্যকে নিয়ে স্বপ্ন কয়জনই বা দেখতে পারে? যারা অন্যকে নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন দেখতে পারে তারাই প্রকৃতপক্ষে একজন আদর্শ মানুষ।তাদের মধ্যে একজন হলো মায়িশা তাজরিন।

মায়িশা তাজরিন বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে পড়ছেন।ছোটবেলা থেকেই তার প্রথম অগ্রাধিকার হলো সহ-পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপ।অবসর সময়ে তার প্রায় সব কিছু করতে ভালো লাগে যেমন: গান গাওয়া,ছবি আঁকা,গল্পের বই পড়া। ছবি আঁকতে অনেক ভালোবাসে মায়িশা।যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্য ডিজিটাল আর্ট করা শুরু করেছে।গল্পের বই পড়ে সে।গল্পের বই পড়া শেষ হয়ে গেলে বাংলা সহপাঠ পড়ে থাকে।রান্না করতে ভালো লাগে তার।’ছায়ানট’ এর শিক্ষার্থী ছিল মায়িশা।পড়াশোনার  চাপের কারণে তার ছায়ানট ছেড়ে দিতে হয়েছিল।আর গানের ব্যাপারে তার রয়েছে অত্যন্ত ভালো ধারণা।
মায়িশার কথা শোনে বোঝা গেল সে পড়াশোনায় ভালো।এইবার এইচএসসি দিবে সে।ভালোমতো দিতে চায় এইচএসসি । ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।তার মা-বাবার এবং নিজেরও ইচ্ছা আছে ডাক্তার হওয়ার।ডাক্তার হয়ে সমাজের মানুষের সেবা করতে চায়।যার জন্য সে এখন মেডিকেলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।তার মতে যে শুধু ডাক্তার হলে মানুষের সেবা করা যায় এমন না কিন্তু।মায়িশা বলে,”প্রতিদিন যদি আমরা অন্তত তিনজন মানুষকে হাসাতে পারি তাহলে এটা কিন্তু অনেক বড় একটা ব্যাপার।ঐ তিনজন মানুষ আমার জন্য একটু হলেও খুশি হচ্ছে।” যা সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার।
ছোট থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় মায়িশা।তার বাবা-মাও মানুষকে সাহায্য করতে ভালোবাসেন।মায়িশা ছোট বেলা থেকেই তার মা-বাবাকে বলত সে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে চায়।বয়স্ক মানুষদের জন্য কিছু করতে চায়।সে অনুযায়ী তার পরিকল্পনাও করা শেষ।তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কিছু করতে চায় যেন তারা সমাজে সুস্থ মানুষের মতো জায়গা পায়।তারা যেন তাদের প্রাপ্য অধিকারটুকু পায়।অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে মায়িশার বাবা।ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের নিয়ে।যেই বয়সে মানুষ স্বপ্ন দেখে দেশ-বিদেশ ঘুরবে,গাড়ি কিনবে , বাড়ি কিনবে সেই বয়সে মায়িশা এত সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখে,যা সত্যিই অতুলনীয়!!
200k Special Contest থেকে “ক্যাস্টাওয়ে অন দ্যা মুন” এর সাথে আছে মায়িশা তাজরিন।সিওটিএম এর ম্যানেজমেন্ট ফামুলাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সে।সিওটিএম এ এসে সে কাজ করা শিখেছে।কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেক।অনেক ভালোবাসা পেয়েছে সিওটিএম থেকে।সিওটিএম এর সম্পর্কে কিছু বলতে বললে মায়িশা বলে-“তুমি (সিওটিএম) যদি না থাকতা এতো কিছু পাওয়া হইতো না,তুমি যদি না  এতো কিছু শিখা হইতো না,তুমি যদি না থাকতা এতো কিছু জানা হইতো না।ধন্যবাদ তোমাকে সিওটিএম”
মায়িশা তাজরিন এর জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।দোয়া করি সে যেন তার সুন্দর স্বপ্নগুলি পূরণ করতে পারে।

-মাহজাবিন রহমান মৌমিতা

“কঠোর প্রয়াস এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দ্বারাই  সাফল্যের সূচনা “

” Positivity & hardwork is the path to gain success ” এই কথার এক অন্যতম উদাহরণ হলো Castaway on the Moon এর রিজা হোসেন।
Castaway on the Moon এই শখের ও শিল্পের জগতের উন্নয়ন এবং নতুন্যত্ব নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন একদল সৈন্য। তাদের মধ্যে রিজা হোসেন অন্যতম এক অংশ।
COTM অরগানাইজেশানের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের একজন বিশেষ সদস্য হলেন রিজা।

রিজা COTM এর সাথে পথচলা শুরু করেন ৭ মাস আগে। ইতিমধ্যে রিজা COTM এর দুইটি ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টে কাজ করেছেন।
COTM সম্পর্কে এবং COTM এর সাথে প্রায় একবছরের পথচলা সম্পর্কে তার অনুভূতি  জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ COTM গ্রুপটি প্রথমে অনেক ক্ষুদ্র থাকলেও এখন সেটি দেশের সবচেয়ে বড় ট্যালেন্ট শোকেজ প্ল্যাটফর্ম,এর সাথে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি. ‘

আরো বলেন, এই ৭ মাস অনেক তারাতারি চলে গিয়েছে,তবে এখানে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি,অনেক স্কিল ডেপেলপ করেছি তাছাড়া একটি সাপোর্টিভ পরিবার পেয়েছি যার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ’

COTM এ ভবিষ্যতে কাজ করার ইচ্ছা আছে নাকি জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন,
‘মানুষ বলতে পারেনা কখন কি হয়,হয়তো কোনো সমস্যায় পরলে আমাকে চলে যেতে হবে তবে যতদিন পর্যন্ত পারবো COTM এর সাথেই থাকবো’

COTM এর হাজারো শিল্পীর মত রিজার ও কিছু শখ আছে। ছোট থেকে নাচের প্রতি ভালোলাগা রিজার।
অনেক বছর ধরেই Hip Hop Dance প্র‍্যাক্টিস করেন রিজা। এছাড়াও স্কুল লাইফে Classical Dance ও করতেন।
নাচ সম্পর্কে রিজা বলেন,  ‘ নাচ আমার শরীরের একটা অংশের মতো।নাচের মাধ্যমে আমি নিজেকে অনেক জীবন্ত মনে করি’

নাচ ছাড়াও আরো কিছু শখ আছে রিজা হোসেনের। ফ্রী সময়ে তিনি poem, Rap song এবং Motivational quotes লিখেন।

রিজার গান গাওয়ার প্রতিও রয়েছে ভালোলাগা।
স্কুল জীবন থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন রিজা।

এক কাজিনের ছবি তোলা থেকে রিজার ফটোগ্রাফি যাত্রা শুরু। তখন ভালো ফোন,ক্যামেরা না থাকলেও টুকটাক ছবি তুলতেন রিজা।আর এখন নিয়মিত প্র‍্যাক্টিস করে যাচ্ছেন নিজের ফটোগ্রাফি স্কিলকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে।

রিজার আরেকটি শখ হলো রঙিন কাগজের দ্বারা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা।  তিনিpen holder, flower, photo frame, gift box ইত্যাদি বানান অবসর সময়ে। তবে কিছুদিন থেকেই একটি নতুন বিষয়ে আগ্রহ জন্মেছে রিজার তা হলো Face art.

রিজার এই শখের সমাহারের সূচনা কি কারো থেকে ইন্সপায়ার হয়ে, এই প্রশ্নের উত্তরে রিজা বলেন,
‘ আসলে জিনিসগুলো আমি নিজে থেকেই করি তবে এর মধ্যে বাবা-মা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছেন’

নিজের কোনো শখকে ভবিষ্যতে প্রফেশন হিসেবে নেয়ার ইচ্ছা আছে নাকি জিজ্ঞাসা করায় রিজা বলেন,
‘যদি কখনো এমন অবস্থায় পরতে হয় বা আমি কোনো কাজ দিয়ে মানুষের চাহিদা পুরন করতে পারবো তাহলে আমি অবশ্যই সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করবো’

COTM হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্যালেন্ট প্রদর্শনার একটি প্ল্যাটফর্ম,এর উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে যাচ্ছে রিজার মতো একদল মানুষ।

রিজা এবং এই সৈন্যদলের দৃঢ় পরিশ্রম তাদের প্রতিমুহূর্তে  এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাফল্যের দিকে। COTM এবং COTM এ নিযুক্ত এই মানুষগুলোর ভবিষ্যতের সকল ধাপে সাফলতা কামনা করছি।

ভবিষ্যৎ এর ম্যাপ অংকনে ব্যস্ত তোহা।

জীবনের সকল মৌলিক ভিত্তি গুলো কে মজবুত করার জন্য আমাদের সর্বদা নানান দিক মাথায় রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়!শুধু মাত্র গতানুগতিক পাঠ্যপুস্তক দিয়েই নিজের ধ্রুব রুপ টাকে জাগিয়ে তোলা যায় নাহ, ঠিক সেই কথাটির এক যথার্থ উধারন হলেন ঢাকার স্বনামধন্য কলেজের মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠান “বিএএফ শাহীন কলেজের” এর তোহা আহমেদ সিরাজী
বয়স বেশি নয়,সবে এইচ এস সি দিবে!হয়তো নাম শুনেই অনেকেই চিনে দিয়েছেন তাকে কেনোনা,তিনি বিএএফ শাহীন কলেজের ফোটগ্রাফী ক্লাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট! এর মানে আবার এই নয় যে তিনি দিন রাত মিলিয়ে ভয়ংকর খাটা খাটনি করেন! বাকি দের মতো তিনিও স্বাভাবিকভাবেই দিন কাল কাটান! অবসর সময়ে গেইমিং আর ফোটোগ্রাফি  করেই সময় অতিবাহিত  করেন যা আবার তার  হ্রদয়ের এক বিশাল অংশ। এগুলো যে শুধু তার সময় খরচ করেছে তা নয়,এগুলোর প্রতি ভালোবাসা তাকে “2nd SGHSC Eco Carnival”, “3rd SGHSC Eco Carnival”MGBSC Photography Club সহ নানা যায়গায় সম্মানিত স্থান নিজের করে নিয়েছেন! এছাড়া তিনি  আদমজী ক্যান্টোনমেন্ট ফটোগ্রাফি ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট!শুরু থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্ব দেয়া ও প্রবল অধ্যাবসায় এর কারনে নিজ প্রচেষ্টায় জীবনের শুরুর দিকেই সফল ভাবে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট নামিয়েছিলেন তার ই সাথে সাথে নানা প্ল্যাটফর্ম এ তিনি বেস্ট সিএ ও হয়েছেন!এর সাথে আরেকটি মজার ব্যাপার হলো তিনি খাবার এর ক্ষেত্রে অনেক সৌখিন, ভবিষ্যৎ এ সিএসই নিয়ে পড়ার সাথে সাথে নানা দেশ ও যায়গায়র খাবার টেস্ট করা ও ছবি তোলার পরিকল্পনা করে চলেছেন! 
এতকিছুর মধ্যেও সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয় হলো,তিনি বর্তমানে সাউথ এশিয়ার অন্যতম বড় আর্ট গ্রুপ “Castaway On The Moon” এর ম্যনেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এর একজন সম্মানীয় ও ডেডিকেটিভ সদস্য! তিনি ক্রমাগত নিজেকে আরো দক্ষ করে চলেছেন যেটা নিঃসন্দেহে আইকোনিক!তোহার মতো মেম্বার দের জন্য আজ সিওটিম মাত্র ১ বছরের মধ্যেই দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছে!
নিজের ভবিষ্যৎ নাহ জানা থাকলেও মানুষ সেটির ব্যাপারে একটি আনুমানিক ম্যাপ অংকন করতে পারে,সেই সুত্র ধরে  ১০ বছর পর  নিজেকে একজন সফল ব্যাবসায়ী হিসেবে দেখতে চান তোহা!তার মতো লাখো তরুন হয়তো একই লক্ষ্যে অথবা অন্য কোন সফল পর্যায়ে যাওয়ার সেই ম্যপ একে যাচ্ছে।সবার কাছেই ১ দিন = ২৪ ঘন্টা,পার্থক্য হলো কে কিভাবে এটিকে কাজে লাগায়! জীবনের মৌলিক গুন ও দক্ষতা গুলো সম্পুর্ণ ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যায় নাহ!এই জিনিস টা তোহা আগে থেকেই বুঝতে পেরে,নিজেকে প্রোডাক্টিভ বানানোর জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন নানা প্ল্যাটফর্ম সহ সি ওটিএম কেও!বর্তমানে সিওটিএম এর মত অর্গানাইজেশন গুলো এরকম হাজারো সুযোগ তৈরি করে যাচ্ছে যাতে দেশের এই তরুন প্রজন্ম নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা জাগিয়ে তুলে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে!

আধুনিক সমাজে,নিজেকে তৈরি করার জন্য তোহার মনোভাব অবশ্যই প্রশংসনীয়!উপসংহারে আমি এটাই মনে করি যে একটি আধুনিক প্রজন্ম তৈরি করার জন্য এধরনের মনোভাব আবশ্যিক! 

” উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রয়াসই সাফল্যের চাবিকাঠি। “

” Ambition is the path to success ” এই কথার এক দৃষ্টান্ত উদাহরণ হলো Castaway on the moon (COTM) এর অভি।
অভি  রাজধানী আইডিয়াল স্কুলের ১০ম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত একজন ছাত্র।

Castaway on the Moon অরগানাইজেশানের সাথে সংযুক্ত আছেন প্রায় একবছর থেকে। COTM হলো একটি আর্টবেসড অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে হাজারো শিল্পী নিজেদের শিল্প প্রদর্শন এবং প্রতিভা বিকাশ  করে যাচ্ছেন।
প্রায় সাড়ে চারলক্ষ সদস্য নিয়ে এই COTM গ্রুপ। এইগ্রুপকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার এবং প্রতিনিয়ত  উন্নত করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন একদল মানুষ।
অভি তাদের মধ্যে অন্যতম । অভি COTM গ্রুপের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষ ।

COTM এর সাথে একটি বছর কেমন কাটলো এবং COTM এ কাজ করার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অভি বলেন,
‘ একটি বছর কাজের মধ্যে দিয়েই চলে গেছে, এই এক বছরে তিনটি ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টে কাজ করেছি ।’
তিনি আরো বলেন,  ‘ COTM এ কাজ করার অনুভুতি আসলে বলে বুঝানোর মতোনা।  সবার সাথে এত ভালো বন্ডিং তাছাড়া এক জন আরেকজন এর কাজে সবাইকে যে সাপোর্ট দেয় এবং মানুষ কতটুকু সাপোর্টিভ হতে পারে cotm এ না থাকলে বুঝতে পারতাম না।  ‘
ভবিষ্যতে COTM এ কাজ করার ইচ্ছা আছে নাকি জিজ্ঞাসা করায় বলেন,  ‘ ভবিষ্যতে কাজ করার ইচ্ছা আছে এবং ইনশাল্লাহ আরো অনেক এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করব।  ‘

COTM এ কাজ করা ছাড়াও COTM এ নিজের শিল্প প্রদর্শিত আর্টিস্টদের মতো অভির ও একটি শখ আছে। ‘ফটোগ্রাফি’
শখের বসে ছোট থেকেই টুকটাক ফটোগ্রাফি করে থাকেন অভি। এরপর ভাবেন পোর্টফলিও তৈরী করে সবার সাথে শেয়ার করা যায়। তারপর ২০১৯ সালের নম্বেভরের শেষের দিকে প্রথম পোর্টফলিও তৈরী করেন।

তার এই শখের ফটোগ্রাফি কি কারো থেকে ইন্সপায়ার হয়ে শুরু করা?   এই প্রশ্নের উত্তরে অভি বলেন, ‘ ইন্সপায়ার হয়ে না, টুকটাক ফটোগ্রাফি আগে থেকেই করতাম তারপর  নিজ থেকেই ভাবলাম এটা তো করা যায় আর সবার সাথে শেয়ার করা যায়,  এভাবেই শুরু।  ‘

অভির একটি পেইজ ও আছে “Shutterflip” নামে, যেখানে তিনি নিয়মিত নিজের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকেন। সব ধরনের ফটোগ্রাফি করে থাকলেও Street  & lifestyle ক্যাটাগরিতে ফটোগ্রাফি করতে বেশি পছন্দ করেন অভি। বিভিন্ন ফটোগ্রাফি কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করে পুরুষ্কৃতও হয়েছেন অভি।
Lights Up Photography Campaign এর বিজয়ী হয়েছেন।
ভবিষ্যতে ফটোগ্রাফিকে প্রফেশনালি নেয়ার ইচ্ছা আছে নাকি জিজ্ঞাসা করায় অভি বলেন, ” শখ টাকে পুঁজি করে কিছু করতে চাইনা আমি, ফটোগ্রাফি নিতান্তই শখের বসে করে থাকি। “

এছাড়াও অভির ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং কে প্রফেশন হিসেবে নেয়া, সেই লক্ষে সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

সকল বিষয়ে অভির প্রয়াস এবং উচ্চাকাঙ্খা তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সফলতার দিকে।
অভির ভবিষ্যৎ পথচলার জন্য অনেক শুভকামনা এবং তার জীবনের প্রতিটি  ধাপে সফলতা কামনা করছি।

পরবর্তি সপ্তাহগুলোতে নিজেকে এ অবস্থানে দেখতে চাইলে করনীয়:

  • সিওটিএম গ্রুপে সপ্তাহজুড়ে আপনার বেস্ট আর্টওয়ার্কগুলো পোস্ট করতে হবে।
  • ক্যাপশনে আপনার পরিচিত নূন্যতম ৫জন বন্ধুকে মেনশন করার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ এক্সপ্ট করার জন্য নমিনেট করতে হবে।
  • ক্যাপশনে অবশ্যই #cotmofficials হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় আপনি এই চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন না।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here