ক্যাম্পাস এম্বাসেডর থেকে চেম্বার প্রেসিডেন্ট।
|| শাহারিয়ার আহমেদ অমি ||
সিওটিএম এর চেম্বার অফ এথেনার প্রেসিডেন্ট, ফারিহা আফরিন, সৃষ্টিশীলতা চর্চা করে এই সৃষ্টিশীল মানুষের মধ্যে নিজের একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। দারুণ চাঞ্চল্য ও উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করে আসছেন দীর্ঘ সময়। বহুদিনের মিষ্টি-কটুর অনুভূতি তার পথচলাকে করেছে আরো বিচিত্র।
সিওটিএম-এ তার যাত্রা শুরু কারিব মাহমুদ মজুমদারের মাধ্যমে। সিওটিএম ২০০কে ইভেন্টে একজন ক্যাম্পাস এম্বাসেডর হয়ে তিনি কাজ করেছিলেন নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় এবং আফিয়া তাবাসসুম রুপালির সহযোগিতায় তিনি সম্মাননা পান এই ইভেন্টে। এরপর তাকে ‘স্প্রিঙ্কল অফ সরসারি’ গ্রুপে একজন ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সেখানেও তিনি নিজের কৃতিত্ব ধরে রাখেন এবং ইভেন্ট শেষে তিনি বেস্ট ইনচার্জ অ্যাওয়ার্ড পান। এজন্য তিনি ধন্যবাদ দেন তার প্রেসিডেন্ট ইমামা আসমিকে। এত সব চেষ্টা এবং একান্ত ইচ্ছা তাকে পেছনে যেতে দেয়নি। এর ফলস্বরূপ গত গেট টুগেদারে তাকে চেম্বার অফ এথেনার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়।
এই যাত্রাপথ আমরা যত সহজ মনে করছি, আসলে তা অনেক কঠিন। সিওটিএম-এ বিভিন্ন ধরনের মানুষ, তাদের ভিন্ন মতাদর্শ। সবার সাথে মিলে কাজ করার জন্য অনেক ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। তার কষ্টের পুরস্কার তাকে সিওটিএমও দিয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তার অবসরের অনেকটা কাটে সিওটিএম-এ সময় দিয়ে। নিজের টিম সামলানো, সবাইকে আগলে রাখা, এসব করতে তার ভালোই লাগে। নিজের পরিবারের মতো সবাইকে দেখে রাখেন। এই সিওটিএম-এ একটি ছোট্ট ভাই পেয়েছেন, রাকিবুল হাসান। এমনি শান্তিময় স্মৃতিগুলো আঁকড়ে চলছে তার দিনগুলো। কোয়ারেন্টাইনে এই পরিবার তাকে কখনো একা হতে দেয়নি। সময়টা তার কাজে লেগেছে এবং তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। এছাড়া ছবি আঁকা, দুষ্টুমি করা, গান গাওয়া বই পড়া এসব তার নিত্যদিনের সঙ্গী। এসব থেকেও ছোটো ছোটো কিছু অর্জন তার রয়েছে।
বহু আশা ভরসা তার এই প্লাটফরম নিয়ে। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে প্রমাণ করতে চান যে, এটি আসলেই একটি পরিবার যেখানে মানুষ মানুষের জন্য, সৃষ্টির জন্য। চলার পথে অনেকের সাহায্য নিয়েছেন তিনি। অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সবাইকে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আরিফা আপু এবং আলিফ ভাইয়াকে এত বৃহৎ একটি পরিবার তৈরির জন্য তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন। আমরা আশা করি তার আনন্দময় দিনগুলো যেন আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।

সিওটিএম এ সামিয়ার পথযাত্রা
||আসমা উল হুসনা পুন্য||
২০২০ এ যখন করোনার মতো মহামারিতে মানুষ লকডাউনে বাসায় বসে অবসর সময় কাটাতে থাকে, তখন সেই সময় মানুষের সেই অবসর সময়কে কাজে লাগানোর জন্য অনলাইনে খোলা হয় একটি গ্রুপ, যেখানে নানা প্রতিভাবান মানুষ তাদের নাচ, গান, কবিতা ইত্যাদি পোস্ট করে থাকে। তখন এই অনলাইন গ্রুপে অনেক সদস্যই কাজ করা শুরু করে। তারা এই গ্রুপটাকে মানুষের মাঝে সুপরিচিত করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে থাকে। সেইসব পরিশ্রমী সদস্যদের মধ্যে সামিয়া হক অন্যতম। তিনি তার এক বড়ো আপুর কাছ থেকে এই গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং Coordinator হয়ে সিওটিএম-এ যোগদান করেন। তিনি এই গ্রুপে বড়ো ভাইয়া আর আপুদের সাথে কাজ করে একটি সুন্দর পরিবার পেয়েছেন। সিওটিএম-এর সম্মানিত রাকিব ভাইয়া এবং এমামা আপুর কাছ থেকে সবসময় সাপোর্ট পেয়েছেন কাজের জন্য। যেহেতু করোনার জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, তাই তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সিওটিএম-এ ভালোমতো টাইম দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি এই গ্রুপে কাজ করে এবং এত দূর পর্যন্ত এসে খুবই ভালো অনুভব করেন। তার কাছ থেকে সিওটিএম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সিওটিএম এমন একটা প্লাটফরম, যেখানে প্রতিভাবান মানুষরা নিজেদেরকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে তাদের ট্যালেন্টের মাধ্যমে। সিওটিএম-এর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।” সামিয়া এখন সিওটিএম এর Chamber of Venus নামের একটি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত আছেন। তিনি আরো ভালো কাজ করে যান সিওটিএম এর জন্যে এবং তার আরো বড়ো পদে পদোন্নতি হোক, এই শুভকামনা রইল ।

পরিশ্রম এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তিই সফলতার চাবিকাঠি
||তিয়াসা হাসান||
” Hardwork and Will power is the key to success “
এই কথার এক অন্যতম উদাহরণ হলো Castaway on the Moon-এর আনিকা নাওয়ার নাবিলা।
Castaway on the Moon হলো সাড়ে ৪ লাখ মেম্বারস নিয়ে একটি অনলাইন আর্টবেসড গ্রুপ, যেখানে হাজারও শিল্পী নিত্যদিন নিজের প্রতিভা বিকাশ করে যাচ্ছেন৷ COTMকে একটি নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত এবং আরো উন্নত প্ল্যাটফরম তৈরি করায় সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন একদল সৈন্য, যারা COTM-এর সাথে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিল্পের প্রতি ভালোবাসা ও ভালোলাগা থেকে।
আনিকা নাওয়ার নাবিলা এই সৈন্যদলের এক অন্যতম অংশ৷ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আনিকার যাত্রা শুরু হয় COTM-এর সাথে৷ প্রথমে একজন Campus ambassador হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তিনি COTM এর administration panel-এর একজন প্রেসিডেন্ট। তার এই সাফল্যের সম্পূর্ণ ক্রেডিট হলো তার কঠোর পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তি৷
COTM এর সাথে এই এক বছরের যাত্রা কেমন হলো এবং COTM সম্পর্কে আনিকার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“COTM is a emotion for me, আগে ভাবিনি এতো ভালো বন্ডিং ক্রিয়েট হবে সবার সাথে। আমি সাধারণত চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি, সবার সাথে খুব একটা মিশতে পারি না। COTM-এ প্রথম ২ মাস এমনই ছিল। কিন্তু পরে সবার সাথে অনেক ভালো বন্ডিং ক্রিয়েট হয়ে যায়। সবাই অনেক ফ্রেন্ডলি আর হেল্পফুল। বড়ো ছোটো সবার থেকে অনেক হেল্প পেয়েছি এবং অনেককিছু শিখতে পেরেছি। “
আনিকার কোনো শখ আছে না-কি জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, “সবসময় পড়াশোনাকেই বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছি, এছাড়াও টুকটাক ক্রাফটিং করি। বই পড়তেও ভালো লাগে। কিন্তু ওই যে বললাম, সবসময় পড়াশোনাকেই প্রায়োরিটি দিয়েছি।”
আনিকার ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার প্ল্যান জিজ্ঞাসা করায় বলেন, “যদি সব ঠিক ভাবে হয় তাহলে ডক্টর হওয়ার ইচ্ছা আছে, আর এই লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ‘
তিনি COTM সম্পর্কে আরও বলেন, COTM এর কাজ করার এক্সপিরিয়েন্স তাকে ভবিষ্যৎ জীবনে অনেকভাবে সাহায্য করবে।
আনিকা এবং COTMকে একটি সুবর্ণ ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফরম তৈরিতে নিয়োজিত এই সকল মানুষগুলোর ভবিষ্যতের পথচলার জন্য জানাই অনেক শুভকামনা।

শুরু হোক নতুন কিছু নিয়ে
||নুসরাত জাহান নিতি||
আবসারা ফাইরোজ , গত বছর নভেম্বর মাসে অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে COTM ( Castway On The Moon)-এ যোগ দিয়ে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
COTM-এর মতো বিশাল প্লাটফরমে আবসারা ফাইরোজ শুরু থেকেই একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন ।
ঢাকার বিখ্যাত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শহীদ বীর উত্তম লে: আনোয়ারা গার্লস কলেজের এইচ.এস.সি ২১ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি । ছোটো থেকে এখন পর্যন্ত ছবি আঁকা, গান গাওয়া , আবৃত্তি করা তার শখের অন্তর্ভুক্ত আছে । COTM প্লাটফর্মে প্রতিভাবান মানুষের কাজ তাকে এই প্লাটফরমে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে । এরপর থেকেই COTM এর সাথে কাজ করা শুরু করেন তিনি ।
বাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম COTM আজ প্রায় ৪.৫ লক্ষের অধিক সদস্য নিয়ে এগিয়ে চলছে নতুন পথচলায়। ইভেন্টে অর্গানাইজিংয়ের পাশাপাশি তিনি COTM-এ অফিসিয়াল ফিচার রাইটার হিসেবে তিনি কাজ করছেন । COTM প্ল্যাটফরমকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তার মধ্যে তিনি অন্যতম।
COTM এর প্রতি ভালোবাসা থাকায় তিনি COTM নিয়ে বলেন, “COTM প্রতিভা প্রকাশের অত্যন্ত চমৎকার একটি প্ল্যাটফরম। এখনও পর্যন্ত আমার COTM এর যাত্রা অসাধারণ ছিল । এখান থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। কিছু অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি, কিছু সুন্দর সুবর্ণ মুহূর্ত উপহার পেয়েছি। এখানকার সকলেই অত্যন্ত বন্ধুবৎসল। সকলে যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে সেটা শব্দ দিয়ে ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। আশা রাখছি COTM আরো এগিয়ে যাবে, আরো সফলতা অর্জন করবে। আর এই সফল যাত্রায় যেন আমি সর্বদাই COTM এর পাশে থাকতে পারি এটাই আমার প্রত্যাশা।”
আবসারা ফাইরোজের পথচলা COTM-এর সাথে আরো সুগম হোক সেই কামনা রইল। তার ভূমিকা COTMকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাক তার জন্য রইল শুভকামনা ।

অদম্য ইচ্ছা আর চেষ্টার ফল: পথ অনুসরণকারী থেকে পথ প্রদানকারী।
||মোমিনুর হক সিয়াম||
Castaway On The Moon এর Chamber of Zues-এর প্রেসিডেন্ট ফাহিমা চৌধুরী আয়সো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কৃতী শিক্ষার্থী। তার যাত্রা শুরু হয় সিওটিএম ২০০কে ইভেন্টে একজন ক্যাম্পাস এম্বাসেডর হয়ে নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ। নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় তিনি সম্মাননা পান এই ইভেন্টে। এরপর তাকে ‘স্প্রিঙ্কল অফ সেরেনিটি’ গ্রুপে একজন ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সেখানেও তিনি নিজের কৃতিত্ব ধরে রাখেন এবং ইভেন্ট শেষে তিনি বেস্ট ইনচার্জ অ্যাওয়ার্ড পান। এত চেষ্টা, অদম্য ইচ্ছা তাকে পেছনে যেতে দেয়নি। ফলস্বরূপ গেট টুগেদারে তাকে চেম্বার অব জিউস-এর প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। অবসর সময়ে তিনি বাফাতে গিটার শেখেন & টুকটাক প্রোগ্রাম করেন।
ইয়ুথদের জন্য তার বার্তা: কোনো ছোটো-বড়ো কাজই বিফলে যায় না। সব ভালো কাজ থেকে একটা না একটা ফিডব্যাক আসে, এক দিন পর হোক বা এক বছর পর।
ভবিষ্যতে তিনি গ্রুপের জন্য কাজ করে যাবেন নিঃস্বার্থভাবে।

আগ্রহ নিয়ে অদম্য প্রচেষ্টায় রিজার পথ চলা
|| তাসনিমুল হাসান ||
জীবনে পথ চলার প্রতিটি মুহূর্তে আগ্রহকে কেন্দ্র করে যার এগিয়ে যাওয়া – আজ এমনই একজন ব্যক্তি নিয়ে আমার লেখা।
সিওটিএম এর Chamber Of Hades-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিজা হোসেন – তার কঠোর প্রচেষ্টায় গ্রুপে করে নিয়েছেন নিজের একটি আলাদা স্থান ।
আমাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে পোস্ট করা বিভিন্ন ধরনের আর্ট হয়ে ওঠে তার অনুপ্রেরণা । নতুন কিছু শেখার আকাঙ্ক্ষা মনে নিয়ে তাই কেবল সাত মাস আগেই 2020 সালের নভেম্বরে একজন ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হয়ে যান তিনি আমাদের গ্রুপের সাথে । ছোট্ট একটি পদক্ষেপ, আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি রিজা হোসেনকে ।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নিজের কাজের নিপুণতা ও পরিশ্রম দ্বারা হয়ে ওঠেন তিনি Court Of Starlight-এর একজন CA Head ! গ্রুপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করে কাজে নেমে পড়েন তিনি ।
বলা হয়ে থাকে, সফলতার পূর্বশর্ত হলো চেষ্টা আর পরিশ্রম । ঠিক এই বিষয়টিকে আরেকবার সত্য প্রমাণ করে দিয়েছেন রিজা। সেই সময়ে সিওটিএম-এর ‘200K Contest’-এ নিজের গ্রুপ স্টারলাইটকে বানিয়ে ফেলেন সেরার সেরা চ্যাম্পিয়ন গ্রুপ এবং নিজেই হয়ে যান সেই সময়কার বেস্ট ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর !
তবে সেরার সেরা হয়েও থেমে যাননি তিনি । সামনের ইভেন্টগুলোতেও তার নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে প্রতিবারই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবার মাঝে । আর সিওটিএম-এর গত এপ্রিলে শেষ হওয়া সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক মেগা ইভেন্টে কাজ করে বর্তমানে তিনি এক গ্রুপের সেক্রেটারি বোর্ডের সর্বোচ্চ পদ অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন । নিজের বর্তমান টিমকেও সেরা হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কী পরিকল্পনা তার – এ ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন “সবার যেমন কিছু ইচ্ছা থাকে নিজের টিমকে নিয়ে , ঠিক সে-রকম আমারও ইচ্ছা আছে। তবে পরিস্থিতি ভালো মতো পর্যবেক্ষণ করেই আমি আমার টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চাই ” ।
গ্রুপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন , সিওটিএম-এ কাজ করার মাধ্যমে তিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলো পার করেছেন। গ্রুপে আসার মাধ্যমে নিত্য নতুন জিনিস শিখতে পেরে এক নতুন নিজেকেই আবিষ্কার করেছেন তিনি ।
গ্রপে কাজ করার পাশাপাশি অফলাইন জগতে তার ঝোঁক রয়েছে নাচের প্রতি। ছোটোবেলা থেকেই নাচের প্রতি এক অসাধারণ কৌতূহল কাজ করে তার মাঝে। যাকে কেন্দ্র করে নিজ প্রচেষ্টায় তিনি শিখে ফেলেন নাচ সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়। নাচ সম্পর্কে তার ছোটোবেলার স্মৃতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “ছোটোবেলায় যে কোনো উঁচু জায়গা দেখলেই স্টেজ মনে করে উঠে যেতাম ” ।
ভিকারুননিসা স্কুলে কেটেছে তার স্কুল জীবনের স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত। স্কুলজীবনে একাধিকবার পারফরম্যান্স করার সুযোগও হয় তার। তবে তিনি বলেছেন, প্রতিবারই তিনি চেষ্টা করেন নিজেকে আগেরবারের থেকে আরো ভালোভাবে তৈরি করার, আরো ভালোভাবে পারফরম্যান্স দেওয়ার। সেক্ষেত্রে তিনি তার বাবা-মায়ের একটি কথা মনে করে বলেন , তারা তাঁকে বলেছিলেন “বাবা তোমাকে দিয়েই হবে।” এই একটিমাত্র কথাকে কেন্দ্র করে নিজের প্রতি ভরসা রেখেই এগিয়ে যান তিনি । নাচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন , “I am dancing since I was born ” । নাচের পাশাপাশি গান নিয়ে ও তার আগ্রহ রয়েছে তবে তিনি বলেছেন গানের বিষয়ে তার আরো চর্চার প্রয়োজন ।
নতুনকে জানার এক উৎসাহ মানুষকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার যাত্রায় অনুপ্রাণিত করে। আর যাত্রাপথে প্রতিমুহূর্তে নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে এগিয়ে যেতে হয় আমাদের কঠোর পরিশ্রম দ্বারা। যার এক অনন্য উদাহরণ রিজা হোসেন । এভাবেই যেন তার সফল পথচলায় মুখর হয়ে ওঠে তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত – এই প্রত্যাশা নিয়েই শেষ করছি আজ ।

পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে নিজেকে এ অবস্থানে দেখতে চাইলে করণীয়:
- সিওটিএম গ্রুপে সপ্তাহজুড়ে আপনার বেস্ট আর্টওয়ার্কগুলো পোস্ট করতে হবে।
- ক্যাপশনে আপনার পরিচিত ন্যূনতম ৫জন বন্ধুকে মেনশন করার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্ট করার জন্য নমিনেট করতে হবে।
- ক্যাপশনে অবশ্যই #cotmofficials হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় আপনি এই চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন না।