করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যে ভার্চুয়াল শিশু আদালতে ২৮ কার্যদিবসে (২৪ মে পর্যন্ত) ৬৪০ শিশু জামিন পেয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমের ওপর গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারিক আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১২ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত ও বিভিন্ন মামলার আবেদনের শুনানি হচ্ছে।
এর ধারাবাহিকতায় আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের জামিনের উদ্যোগ নেয় সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটস (এসসিএসসিসিআর)। এ উদ্যোগে সহায়তা করে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সংস্থা ইউনিসেফ।
শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সঙ্গে সংঘাতে বা সংস্পর্শে আসা শিশুদের কারাগারে না পাঠিয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে গাজীপুরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ী এবং যশোরে তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গী ও যশোরের কেন্দ্র দুটি বালক শিশুদের জন্য নির্ধারিত। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িত নয় এবং অপেক্ষাকৃত লঘু ও প্রথমবারের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশুদের জামিনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জামিনে মুক্তি পাওয়া শিশুরা যাতে আর্থিক অনটনে না পড়ে সে জন্য তাদের পরিবারকে তিন মাসের জন্য প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে মোট সাড়ে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ।