বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালকে ১ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হাইভোল্টেজ ফাইনাল জিতে প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো বিপিএলের শিরোপা জিতল কুমিল্লা। অন্যদিকে তিনবার ফাইনাল খেলে তিনবারই রানার-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বরিশালের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পেলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান জড়ো করে তৃতীয় ফাইনাল খেলতে নামা কুমিল্লা। ২১ বলে অর্ধশতক হাঁকানো নারাইন ২৩ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৫৭ রান করে বিদায় নিলে খেই হারায় কুমিল্লা।
তবে মইন আলির ৩২ বলে ৩৮ ও আবু হায়দার রনির ২৭ বলে ১৯ রানের ইনিংস দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের এনে দেয় লড়াকু পুঁজি। বরিশালের পক্ষে শফিকুল ইসলাম ও মুজিব উর রহমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বরিশাল শুরুতেই হারিয়ে ফেলে ফর্মে থাকা মুনিম শাহরিয়ারকে (৭ বলে ০)। তবে মুনিমের অভাব পূরণ করেন একাদশে ফেরা সৈকত আলী। ৩৪ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৮ রান করে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান।
সৈকতের মতো মারকুটে ব্যাটিং না দেখালেও চওড়া ছিল ক্রিস গেইলের ব্যাট। সাজঘরে ফেরার আগে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। সাকিব আল হাসান (৭ বলে ৭) আউট হলে শেষদিকে দায়িত্ব বর্তায় নুরুল হাসান সোহান (১৩ বলে ১৪) ও নাজমুল হোসেন শান্তের (১৫ বলে ১২) কাঁধে।
তবে সোহান-শান্ত দুজনই সাজঘরে ফেরেন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে। ১ রান করে আউট হন ডোয়াইন ব্রাভো। এতে ধীরে ধীরে ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় বরিশালের জন্য। স্লগ ওভারে সুনীল নারাইনের বোলিং লড়াইয়ে ফেরায় কুমিল্লাকে।
শেষ পর্যন্ত নারাইনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যই গড়ে দেয় পার্থক্য। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। শহিদুল ইসলামের করা রোমাঞ্চকর সেই ওভারে বরিশাল জড়ো করতে পেরেছে ৮ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান দাঁড়ায় সাকিব আল হাসানের দলের সংগ্রহ। এতে ১ রানের জয়ে শিরোপা জেতে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা।
কুমিল্লার পক্ষে মইন আলি ও তানভীর ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন।