ছোটোবেলায় টক দই এড়িয়ে গিয়ে মিষ্টি দই পছন্দ করতাম আমরা অনেকেই। কিন্তু টক দইয়ের হরেকরকম গুণ অস্বীকার করে উপায় নেই। চলুন দেখে নেওয়া যাক লো-ক্যালোরি আর প্রোটিনে পরিপূর্ণ খাবারটির কিছু উপকারিতা।
- ওজন কমানো
উচ্চ প্রোটিন থাকায় টক দই ক্ষুধা কমায়। ফলে আমাদের ক্যালরি ইনটেক কমে আসে আর ওজন কমাতে সুবিধা হয়।
- হাড়ের জন্য উপকারী
টক দইতে থাকে ক্যালসিয়াম যা হাড় শক্ত করে। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে দই কার্যকর। বিশেষত মধ্যবয়স্ক নারীদের হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় দই খাওয়া খুবই উপকারী।
- পেটের জন্য ভালো
প্রোবায়োটিকে সমৃদ্ধ টক দই হজমশক্তি বাড়ায়। প্রোবায়োটিক হলো পেটের জন্য ভালো ব্যাক্টেরিয়া।
- রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
দই শুধু প্রোটিন আর ভিটামিনেই সমৃদ্ধ নয়, এতে রয়েছে ল্যাক্টোব্যাসিলাস নামক একপ্রকার ব্যাক্টেরিয়া – যা দেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত দই খেলে বিভিন্ন হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়।
- যোনীপথের বিভিন্ন সংক্রমণ ঠেকায়
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে যোনীতে ইস্ট ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা। নিয়মিত দই খেলে যোনীপথের পিএইচ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে আসে।